বাঙালি মেয়েদের অবস্থার উন্নয়নের জন্য উনিশ শতকের প্রথম দিক থেকে চিন্তাশীল কিছু মানুষ সচেতন হয়ে ওঠেন। বিভিন্ন কুপ্রথার কবল থেকে মেয়েদের মুক্ত করার জন্য শুরু হয় একের পর এক আন্দোলন। মানবিক বিভিন্ন অধিকার মেয়েদের ফিরিয়ে দেবার অনুকূলে জনমত সৃষ্টির জন্য, শুরু হয় লেখালেখি। শিক্ষার দরজা মেয়েদের সামনে খুলে দেওয়ার জন্য সওয়াল করতে এগিয়ে আসেন বিভিন্ন জন। শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধ থেকে নিজেদের অসহায় অবস্থার কথা মেয়েরাও বলতে শুরু করেন। নারীর মুক্তির জন্য সচেষ্ট হয়ে ওঠেন ব্রাহ্ম সমাজের তরুণ সদস্যরা। এইরকম পটভূমিতে ঢাকার শিক্ষিত তরুণ কালীপ্রসন্ন ঘোষ রচনা করেন নারীজাতি-বিষয়ক প্রস্তাব।
There are no reviews yet.