“. . . পূজা শেষে পরিবারের দুধ-ভাতের প্রার্থনা জানাতে গিয়ে পুণ্যের মনে আবার এল কন্যাসন্তানের কামনা। দেবী অন্নপূর্ণার মতো এক কন্যা। দেবতার আশির্বাদ পেল পুণ্য। জ্যোৎস্নার অমলধবল শোভায়, ফুল্লকুসুম-গন্ধে উতলা হয়ে সে টেনে নিল স্বামীকে. . . তৃপ্ত পুণ্য সে দিন স্বপ্নে দেখল জ্যোতিপুঞ্জ।
তারপর দশ মাস দশ দিন পরে কন্যার জন্ম, অন্নপ্রাশন, মেয়ের নামকরণ হল অন্নপূর্ণা। সংক্ষেপে অন্ন, আঞ্চলিক উচ্চারণে অন্য। দেবী যে-গর্ভে জাত হন, সেখানে আর অন্য সন্তান জন্মায় না। তাই দৈবী চক্রান্তে হাসপাতালে ডাক্তারেরা পুণ্যকে অপারেশন করে বন্ধ্যা করে দিল। কী কাণ্ড! এ জন্য সে পেল একশো পঞ্চাশ টাকা। ঘরে অন্নদা যে! গর্ভাবাসে অন্নদা তার ভাবী লীলার এক ছক কেটে নিয়েছিল।. . .”
ছকের বাইরে এ কিন্তু এক অন্য কাহিনী, অনন্য কাহিনী। বাউল-ফকির ভুবনে পরিব্রাজক লেখকের এক অন্য পরিচয়ও বটে।
There are no reviews yet.